বরুড়া প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে এস এস সি পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থী পুলিশের সংঘর্ষে ৭জন আহত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ৯ই মে মঙ্গলবার দুপুর ১টায় এস এস সি পরীক্ষা শেষ হলে কিছু বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী হট্টগোল ও ভাংচুর করে এবং বহিরাগত লোকজন পটকাবাজী ফাটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাথে সাথে মুহূর্তেই পরীক্ষার হলের ভিতরে বাহিরে অস্থিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, এ সময় পরীক্ষার কেন্দ্রের ভিতরে থাকা দুজন নির্বাহী ম্যাজিট্রেট সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষে উত্তরপত্র নিতে বাধা প্রদান করে শিক্ষার্থীরা।
এসময় খবর পেয়ে বরুড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফিরোজ হোসেন সহ সঙ্গীয় ফোর্স পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পুনরায় পরিস্থিতির অবনতি হলে বরুড়া পৌরসভা মেয়র মোঃ বকতার হোসেন, বরুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ নাছির উদ্দীন লিংকন এসে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বিকাল তিনটার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে পুলিশি প্রহড়ায় পরীক্ষার সকল খাতাপত্র নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য সহ ৭ জন আহত হয়।
আহতদের তালিকা মোঃ সজিব হোসেন (১৬) পিতা-ওমর ফারুক, গ্রাম কাসেড্ডা, মোঃ ফারুক (২১) পিতা-ইব্রাহিম মিয়া গ্রাম-শিয়াললোড়া, তাজুল ইসলাম (১৫) পিতা-মঞ্জুর উদ্দিন, গ্রাম-ঝলম, মোহাম্মদ আলী (৩৮)পিতা-মোবারক হোসেন, গ্রাম-বাতাবাড়িয়া, মোঃ উদয় (১৭) পিতা-জামাল হোসেন, গ্রাম-ভুওরী, ফাহাদ হোসেন (১৭) পিতা-মোশাররফ হোসেন, গ্রাম-শালুকিয়া, নুরুল ইসলাম (২৭) পিতা মোঃ ফারুক, বরুড়া থানা পুলিশ।
এই বিষয়ে বরুড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফিরোজ হোসেন বলেন বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম আলম, বরুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা এর নির্দেশে পরীক্ষার হল নকলমুক্ত করার কারনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা শেষে দায়িত্বরত শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা চালায় খবর পেয়ে বরুড়া থানা পুলিশ কোন রকম টর্চার ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page